স্বদেশ ডেস্ক:
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবুর কক্ষ থেকে দুটি পিস্তল পাওয়া গেছে। এ সময় সেখানে মদের বোতলও পাওয়া যায়। এ ছাড়া সাধারণ সম্পাদকের কক্ষ থেকে বেশ কিছু দেশীয় অস্ত্র উদ্ধারের দাবি করেছেন আন্দোলনকারীরা।
আজ মঙ্গলবার বিকেল ৫টার দিকে দ্বিতীয় দফায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে অবস্থানকালে ওই অস্ত্র দেখতে পান আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এ সময় ছাত্রলীগ সভাপতির ২৩০ ও ২৩১ নম্বর কক্ষসহ নেতাকর্মীদের প্রায় ২০টি কক্ষে ভাঙচুর চালিয়ে তাদের আসবাবপত্র বাইরে ফেলে দিয়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়।
এর আগে বিকেল পৌনে ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন বিনোদপুর বাজার থেকে লাঠি হাতে মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটকের তালা ভেঙে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন শিক্ষার্থীরা। তাদের সঙ্গে যোগ দেন হলের শিক্ষার্থীরা। বঙ্গবন্ধু ও মাদার বখশ হলের তালা ভেঙে ভিতরে ঢোকেন তারা। এ সময় বিভিন্ন কক্ষে ভাঙচুর করার পাশাপাশি ২০টার মতো মোটরসাইকেলে আগুন দেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে মিছিল নিয়ে আবার ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থান প্রদক্ষিণ করেন শিক্ষার্থীরা।
দ্বিতীয় দফায় আবার বঙ্গবন্ধু হলে তল্লাশি করেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এ সময় অধিকাংশরা ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কে অবরোধ করেন। তখনই রাবি ছাত্রলীগ সভাপতির কক্ষ থেকে পিস্তল-মদ ও সাধারণ সম্পাদকের কক্ষ থেকে দেশীয় অস্ত্র পাওয়া যায়।
কোটা সংস্কার আন্দোলনে রাবির সমন্বয়ক আম্মার বলেন, ‘আমরা বঙ্গবন্ধু হলে রাবি ছাত্রলীগের সভাপতির কক্ষ থেকে পিস্তল ও সাধারণ সম্পাদকের কক্ষ থেকে দেশীয় অস্ত্র পেয়েছি।’
এ বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. আসাবুল হকের মুঠোফোনে কল দিলেও তিনি রিসিভ করেনি।